খাঁটি খেজুর গুড়ের স্বাদ থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টি, ভেজাল গুড়ে স্বাদ ও গন্ধ তেমন থাকে না, ভেজাল গুড় বা মিশ্রিত গুড়ের গন্ধ হতে পারে কৃত্রিম বা অস্বাভাবিক।
আসল পাটালি গুড়ের ভেতরে রসালো থাকবে, অনেক সময় গরমে গলে যেতে পারে।
অতিরিক্ত জ্বাল দেওয়ার কারণে, ভেজাল গুড়ের স্বাদ তিতা ভাব থাকে।
ভেজার গুড়ে কৃত্রিম চিনি মেশানোর ফলে তা চকচক করে এবং শক্ত হয়ে থাকে।
ভেজাল গুড় তুলনামূলক শক্ত হয়ে থাকে। তবে খাঁটি খেজুর গুড় হাতে নিয়ে ভাঙলে তা রসালো ভাব অনুভূত হবে।
খাঁটি গুড় চেনার আরো নানারকম উপায় আছে, প্রয়োজনে গুড় ভেঙে একটু খেয়ে দেখে নিতে পারবেন।
শীতে পিঠার জন্য খেজুর গুড় খুবই জনপ্রিয়। যেমনঃ ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা, দুধ চিতই, পাটিসাপটা পিঠা, নকশী পিঠা, ম্যারা পিঠা, তেলের পিঠা, গুড়ের জিলাপি, দুধ-পুলি পিঠা, ক্ষির পিঠা ইত্যাদি।
এছাড়াও খেজুর গুড় দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়।
গুড়ের শরবত, গুড়ের চা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মজাদার সব আইটেম তৈরি হয়।
খেজুর গুড় প্রতিদিন অল্প পরিমাণে সরাসরি খাওয়া যায়, যা শক্তি এবং পুষ্টি যোগাবে।
চিনির পরিবর্তে এই গুড় ব্যবহার করতে পারবেন।
খেজুরের গুড়ে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামজাতীয় খনিজ উপাদান। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন এক চামচ খেজুর গুড়। রক্তস্বল্পতার ভুগছেন, তারাও খেজুরের গুড় খেলে উপকার পাবেন।